কুয়েতে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে পিঠা ও বসন্ত উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের পৃষ্ঠপোষকতায় শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় রিগাই পার্কে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পিঠা উৎসবে কুয়েতে বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবারের নারীরা নানা নামের বাহারি নকশার মুখরোচক সব পিঠা নিয়ে হাজির হন। এর মধ্যে ছিল- ভাপা পিঠা, নারিকেল দুধ পুলি, গোলাপ ফুল পিঠা, পাটিসাপটা, চিতই পিঠা, মালপোয়া পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা, সেমাই পিঠা, সন্দেশসহ মজার সব সুস্বাদু ও নজরকাড়া পিঠা।
উৎসবে অন্তত ৬০ জন গৃহিণী সর্বোচ্চ ৫০ রকমের বাহারি পিঠা প্রদর্শন করেন। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যবাহী হরেক রকমের বিরিয়ানি, কোরমা, মাংসের রেসেপি তৈরি ও প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় কুয়েতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের মিশন ও দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, কুয়েতে বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা পিঠা স্টল ঘুরে দেখেন এবং পছন্দমতো বিভিন্ন পিঠা ও খাবারে স্বাদ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশি বাহারি খাবারের স্বাদ ও গুণগতমানের প্রশংসা করেন অতিথিরা।
এদিন বসন্তের সাজে সাজেন নারী, পুরুষ ও শিশুরা। তারা বিভিন্ন রকমের পোশাক মিলিয়ে পরেন। বন্ধুবান্ধব ও পরিবার মিলে দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করেন তারা। উৎসবটি বাঙালির মিলনমেলায় পরিণত হয়- এ যেন মরুর বুকে একখণ্ড বাংলাদেশ। খাওয়া-দাওয়া, খেলাধুলা, আড্ডায় মেতেছিল ছোট-বড় সবাই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।